দখিনের খবর ডেস্ক ॥ ঢাকা জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মো. মামুনুর রশীদকে বরিশাল বিভাগে বদলি করা হয়েছে। লকডাউনে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে এক চিকিৎসকের পরিচয়পত্র দেখা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বাগবিতণ্ডার সময় তিনি সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালতে দায়িত্বরত ছিলেন। তবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব শেখ ইউসুফ হারুন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়ই তাকে বদলি করা হয়েছে। তার বদলির বিষয়টি আগে থেকেই প্রক্রিয়াধীন ছিল। গত রোববার এক চিকিৎসক ও পুলিশের মধ্যে বাগবিতণ্ডার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়। সেখানে চিকিৎসকের পরিচয়পত্র দেখতে চান ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদও। পরে এ নিয়ে পুলিশ ও চিকিৎসক পাল্টাপাল্টি বিবৃতি দেয়। হাইকোর্ট এ পাল্টাপাল্টি বিবৃতিকে কাম্য নয় বলেও মন্তব্য করেন। এরপরই এ বদলির আদেশ এসেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, ওই নারী চিকিৎসকের পরিচয়পত্র দেখতে চান পুলিশ সদস্যরা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। উত্তেজিত হয়ে পুলিশ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা করতে দেখা যায় ওই চিকিৎসককেও। চিকিৎসকের দাবি, চিকিৎসককে ইচ্ছে করে হয়রানি করা হয়েছে। কারণ তার গাড়িতে লকডাউনের সময় হাসপাতালে কাজ করার আদেশনামা ছিল, পরনে অ্যাপ্রোন ছিল এবং গাড়িতে হাসপাতালের স্টিকারও লাগানো ছিল। আর পুলিশের পক্ষের দাবি, চিকিৎসক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশকে ‘তুই’ বলে সম্বোধন করেছেন এবং গালি দিয়েছেন। তিনি নিজ মন্ত্রণালয়ের বৈধ আদেশ লঙ্ঘন এবং ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানানো হয় পুলিশের বিবৃতিতে। এর আগে বিএমএ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে লেখা এক চিঠিতে এলিফ্যান্ট রোডে চিকিৎসককে হেনস্তায় জড়িতদের দ্রুত চিহ্নিত করে বিভাগীয় শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছিল। পাশাপাশি ওই দিনের ঘটনার পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নিজেদের বুলেটিংয়ে চিকিৎসকদের পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখার জন্যও আহ্বান জানিয়েছিল।
Leave a Reply